মরুভূমি: কঠিন পরিবেশেও যেখানে টিকে আছে বিস্ময়ে ভরা প্রাণীকুল
Автор: বিস্ময় _Bishmoy
Загружено: 2020-09-14
Просмотров: 67
বিস্ময়ের ভরা পৃথিবী। কমলা আকারের এই পৃথিবীর নানা প্রান্তের পরিবেশ, জীবন ও প্রকৃতি নানা রকম। এই পৃথিবীর কোথাও বনাঞ্চলে পরিপূর্ণ, কোথাও আবার বরফে আচ্ছাদিত, কোথাও ধুসর মরুভূমি। আজ আমরা জানব মরুভূমির বিস্ময়কর জীবন ও প্রকৃতি সম্পর্কে।
মরুভূমি দেখলেই মনে হয় বসবাস নিষিদ্ধ এলাকা। শুষ্ক, কঠোর প্রকৃতি যেন বার্তা দিচ্ছে-এখানে বসবাস করার অনুমতি নেই কারোরই। কিন্তু প্রাণের বিকাশ ঠেকাবে এমন সাধ্য মনে হয় নিষ্ঠুর মরুভূমিরও নেই। কঠিন পরিবেশেও বিকশিত হয় প্রকৃতি, সংঘর্ষ করে টিকে থাকে কিছু প্রাণী। অতীব প্রয়োজনীয় পানি ও খাদ্যের চরম অভাব থাকলেও প্রকৃতি নিজ প্রয়োজনেই মরুভূমিতেও প্রাণ সঞ্চার ঘটায়।
সরীসৃপ, পোকামাকড় জাতীয় প্রাণীদের বসবাস বেশি মরুভূমিতে। মরুভূমি এলাকা এতোটাই উত্তপ্ত হয় যে দিনের আলোতে এখানে চলাফেরা করতে পারে না প্রাণীরা। সূর্য ডুবার পরপরই চঞ্চল হয়ে ওঠে প্রাণীরা। খাদ্যের সন্ধানে বের হয়, কেউ শিকার করে আবার কেউ শিকারে পরিণত হয়। কিছু কিছু প্রাণী দিনের আলোতে বের হলেও দ্রুত গতিতে চলাফেরা করে তারা তাপ এড়িয়ে যায়।
মরুভূমিতে পানি পাওয়া মানে অধরা স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো। যেসব প্রাণী শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে কেবল তাদেরই বেশিদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি। টার্কি ও শকুনের মতো প্রাণীরা খাদ্যের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় পানির জোগাড় করে থাকে। মরুভূমিতে জন্মানো ক্যাকটাস গাছ প্রচুর পারি ধরে রাখে কাণ্ডে ও পাতায়। তাই অধিকাংশ প্রাণী পানির প্রয়োজন মেটাতে ক্যাকটাস ভক্ষণ করে থাকে। এছাড়া মাটির নিচে বসবাসকারী ক্যাঙ্গারু ইঁদুর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতার জোগাড় করে থাকে। মরুভূমিতে বসবাসকারী এক ধরনের বিশেষ ব্যাঙ গরমের হাত থেকে বাঁচতে গরমনিদ্রায় চলে যায়। বৃষ্টির আভাস পেলেই কেবল তারা জেগে ওঠে ও চলাফেরা করে। তবে জার্বোয়া নামক খরগোশ কানের এক প্রজাতির ইঁদুর, বড় বড় কানওয়ালা ছোট শিয়াল ও উটের মতো প্রাণীরা মরুভূমিতেই বসবাস করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের মরুভূমিগুলোতে ববক্যাট নামক বনবিড়াল, কায়োটি ও কিছু বিরল প্রজাতির কচ্ছপও পাওয়া যায়।

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: