পল্লী উন্নয়ন একাডেমি আরডিএ বগুড়া || Rural Development Academy Bogura
Автор: Mahbub Or Rashid
Загружено: 2025-12-30
Просмотров: 61
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি আরডিএ বগুড়া || Rural Development Academy Bogura #RDA #আরডিএ
স্বাধীনতাত্তোর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিলেন তার মধ্যে দেশের দারিদ্রপীড়িত উত্তরাঞ্চলে পল্লী উন্নয়ন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা অন্যতম। গ্রামভিত্তিক বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কোন বিকল্প নাই। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় ২.০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে একাডেমী প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে ১০নং আইনের দ্বারা পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। একাডেমীর মূল দায়িত্ব প্রশিক্ষণ, গবেষণা, প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনা ও পরামর্শ সেবা প্রদান করা। একাডেমী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে উল্লিখিত দায়িত্ব সফলভাবে পালন করে আসছে। এর ফলশ্রুতিতে একাডেমী লাভ করেছে বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পুরস্কার। বর্তমানে আরডিএ সুনির্দিষ্ট ভিশন ও মিশনকে সামনে রেখে কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া’র রূপকল্প (Vision), অভিলক্ষ্য (Mission), কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ এবং কার্যাবলি
১.১ রূপকল্প (Vision):
পল্লী উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন।
১.২ অভিলক্ষ্য (Mission):
দারিদ্র দূরীকরণে পল্লী উন্নয়নের বিভিন্ন মডেল ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তারের মাধ্যমে টেকসই পল্লী উন্নয়ন নিশ্চিত করণ।
১.৩ কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ (Strategic Objectives):
১.৩.১ একাডেমীর কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহঃ
গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে পল্লী উন্নয়ন মডেল উদ্ভাবন;
প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ও পরামর্শ সেবার মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম গতিশীল করা।
১.৩.২ আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহঃ
উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিতকরণ;
দক্ষতার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন;
প্রশাসনিক সংস্কার ও নৈতিকতার উন্নয়ন;
তথ্য অধিকার ও স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ বাস্তবায়ন; এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
১.৪ কার্যাবলি (Functions):
গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র দূরীকরনে প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে মডেল উদ্ভাবন ও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথ গবেষনা পরিচালনা করা;
পল্লী উন্নয়নে সময়োপযোগী কৌশল উদ্ভাবন করা;
কমিউনিটি পর্যায়ে অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে পল্লী উন্নয়ন মডেল গড়ে তোলা ও ইতিবাচক পরিবর্তনে তা ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা; এবং
একাডেমীর মডেলসমূহ সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ সেবা প্রদান ।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সাফল্য তুলে ধরা হলোঃ-
যেখানে আশির দশকে একটি গভীর নলকূপ থেকে মাত্র ৪০ একর জমিতে সেচ প্রদান করা সম্ভব হতো, সেখানে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ার উদ্ভাবিত ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা স্থাপনের ফলে একটি গভীর নলকূপ থেকে ১৬৩ একর বোরো ধানের জমিতে সেচ প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় জ্বালানি খরচ ৭৫% এবং পানির অপচয় ৬০% হ্রাস পেয়েছে।
প্রচলিত প্রযুক্তিতে একটি ২ কিউসেক নলকূপ স্থাপন করতে গভীরতা অনুযায়ী ব্যয় হয় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা অথচ একাডেমী নিজস্ব প্রযুক্তি ও দেশীয় মালামাল ব্যবহার করে গভীরতা অনুযায়ী ৭৫ হাজার থেকে ৩.০০ লক্ষ টাকায় একটি গভীর নলকূপ বসাতে সক্ষম।
দেশে বিদ্যমান আর্সেনিকের ভয়াবহতা রোধকল্পে একাডেমীর গবেষকবৃন্দ প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে স্বল্প ব্যয়ে পানিকে আর্সেনিক মুক্ত করার জন্য ফিল্ট্রেশন প্লান্ট স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হাইব্রীড ভূট্টা বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একাডেমী কর্তৃক উদ্ভাবিত টেকনিক্যাল প্রটোকল দেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। উল্লেখ্য, একাডেমী ১৯৯৪ সালে দেশে ‘প্রথম জাতীয় বীজ মেলা’ শিরোনামে ব্যতিক্রমধর্মী বীজ মেলার আয়োজন করে। প্রায়োগিক গবেষণা ও প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য একাডেমীর ৮০ একর জমিতে গড়ে উঠা প্রদর্শনী খামারটি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে একটি প্রশংসিত উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এক কথায় বলা যায়, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে জন্মলগ্ন থেকে অংগীকারাবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়াকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০০৪ অর্জন করে।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: