অমিত শাহ এখন থেকে ডেইলি প্যাসেঞ্জার হিসেবে বাংলায় আসবেন যাবেন। এবারে এলেন, কী করলেন? কী পেলেন?
Автор: বাংলা বাজার BANGLA BAZAR
Загружено: 2025-12-31
Просмотров: 20399
আপাতত বাংলাতে তেনারা আসবেন, যাবেন, আসবেন যাবেন, লোকাল ট্রেনের প্যাসেঞ্জারি করার মতন। আগে বেশ কয়েকবার বলেছি, আবার বলি, বিজেপির লক্ষ্য তো শুধু ক্ষমতা দখল আর গদিতে বসে থাকা নয়। তাদের দুটো লক্ষ তো খুব পরিস্কার। ১) এক হিন্দুরাষ্ট্রের ঘোষণা। যেখানে হিন্দুরা ছাড়া বাকিরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে থাকবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের দয়ায় থাকবে। ২) সেই রাজত্ব হবে নিরবিচ্ছিন্ন, বিরোধিতাহীন এবং নিরংকুশ। সেসব করার ক্ষেত্রে এখন তাদের সামনে বাধা কংগ্রেস, রাহুল গান্ধী ইত্যাদি নয়, সামনে বাধা হল দেশের সংবিধান। সেই কবে ১৯৫০ এ ভারতবাসীর হাতে সংবিধানটা তুলে দিয়ে আমাদের রাষ্ট্রনায়কেরা বস্লেছিলেন যা সিমরন যা, জি লে অপনি জিন্দেগি। তারপর থেকে প্রত্যেক স্বৈরাচারী শাসকের লক্ষ্য ছিল এই সংবিধানটাই। সংবিধানে উগ্রপন্থা থেকে যে কোনও হিংসা রুখে দেবার প্রচুর ব্যবস্থা থাকার পরেও, শাসক এনেছে এসমা, নাসা, প্রেস বিল, ইউএপিএর মত বিল। কেন? কারণ ঐ সংবিধান তাদের যা ইচ্ছে খুশি করার অধিকার দেয়নি। ঘিরে ধরে মানুষ মারার অধিকার আমাদের সংবিধান দেয় নি, সে মাওবাদি হলেও নয়, আজমল কাসভ হলেও নয়, বিয়ন্ত সিং হলেও নয়। সংবিধানের ধারা মেনেই তাদের বিচার হবে ফাঁসি হবে, কিন্তু স্বৈরাচার সেসব মানবে কেন? তারা সংবিধান বদলে নতুন নতুন অস্ত্রে বলীয়ান হতে চেয়েছে। বিজেপির এই মারাত্মক পরিকল্পনার সামনেও এক খাড়া দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐ সংবিধান। কিন্তু তারা সেই কাজ করবে সংবিধান সংশোধন করেই, আর তা করতে গেলে তাদের সংশদে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকলেই হবে না, তাদের অন্তত ১৪ টা বড় রাজ্যের অনুমোদন চাই। তাদের ১৩ টা রাজ্য হাতে আছে, হ্যাঁ আর একটা চাই। এই মুহুর্তে পশ্চিম বাংলা তাদের টার্গেট, কাজেই তারা আসবেন যাবেন, নানান ছক কষবেন, প্রশাসন থেকে এজেন্সি সবকটাকে কাজে লাগাবেন, লক্ষ বাংলা চাই। অমিত শাহ তারজন্য ১০০ বার রুটই দিয়ে আলুপোস্ত খেতেই পারেন, ধোঁকার ডালনা খেতেই পারেন। তো সেই তিনি এবার থেকে নতুন উৎসাহে নেমে পড়েছেন। এটা হল প্রকাশ্যে তাঁর কাজকর্ম, বুকনি ইত্যাদি। আর এরই সঙ্গে চলতে থাকবে গোপন নির্দেশ দেওয়া, ভিজিলেন্সকে কাজে লাগানো, ভৌ কুত্তা মিডিয়াকে কাজে লাগানো ইত্যাদি। অন্যদিকে এক নিরবিচ্ছিন্ন নিরঙ্কুশ শাসন ব্যবস্থা চালিয়ে যাবার জন্য তাঁদের হাতে দুটো অস্ত্র আছে। ১) মেরুকরণ আর তারই সঙ্গে ৭০% হিন্দুদের সঙ্গে আনা। তারজন্য মুসলমানদের ভিলেন হিসেবে সামনে রাখা, খ্রিস্টানদের টার্গেট করা। ২) হল নাগরিকত্বের দোহাই দিয়ে প্রান্তিক মানুষ আর সংখ্যালঘু মানুষদের বে নাগরিক করিয়ে দেওয়া, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে বের করে দেওয়া। হ্যাঁ এই জন্যই এই মোদি – শাহ সি এ এ এনেছিল, এন আর সি কররে চেয়েছিল, সেদিন পারেনি, এবারে সেই একই কাজ তারা নির্বাচন কমিশনের মত এক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করাতে চাইছে। তো তেম্পন এক প্রেক্ষিতে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে অমিত শাহ, আমাদের ছোটা মোটা ভাই কলকাতায় এলেন। এসেই ল্যাবড়ালেন। উনিজী বঙ্কিমদা বলেছিলেন, ইনি বললেন রবীন্দ্রনাথ সান্যাল। পাশে বসে বঙ্গ বিজেপির ইনটেলেকচোয়াল সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সেই অমিত শাহের দুটো মূল বক্তব্য হল ১) ঘুসপেটিয়া, অনুপ্রবেশকারী ২) দূর্নীতি। আজও বৈঠকের পরে তিনি বলেছেন ঐ দুটো কথা। আর বলেছেন কলকাতার ২৮ টা আসনের মধ্যে ২০ টা চাই। ভিত্তি কী? জানি না, কেন ২০ টা ২২ তা কেন নয় জানি না, কিন্তু ওনার নাকি ঐ ২০ টা চাই। আর তারজন্য বাড়ি বাড়ি সম্পর্ক তৈরি করার কথা বলছেন আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। মাত্র কদিনের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলার সূতি থানা এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের সদ্যযুবক বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিক জুয়েল রাণা শেখ-কে উড়িষ্যার সম্বলপুরে পিটিয়ে হত্যা করা হল, একই থানা এলাকার অন্য সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য রিঙ্কু শেখ-কে একইভাবে 'বাংলাদেশী' তকমা দিয়ে অসমের শিলচরে মেরে ফেলার চেষ্টা হল, ত্রিপুরার অধিবাসী জনজাতি পরিবারের ছাত্র অ্যাঞ্জেল চাকমা-কে উত্তরাখন্ডের দেরাদুনে কুপিয়ে হত্যা করা হল, অসমের কার্বি আংলংয়ের বাসিন্দাদের দেশের অন্যত্র চিনা বিদেশী তকমা দিয়ে হামলা করা হচ্ছে, উনি একটা ও কথা বললেন? জানালেন যে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে ওনার দপ্তর। জানালেন কেন সোনালি বিবিকে বে আইনি ভাবে পুশ ব্যাক করা হয়েছিল? জানালেন কেন কুলদীপ সেঙ্গার কে একজন ধর্ষণে প্রমাণিত অপরাধীকে জেল থেকে ছাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বিজেপির সমর্থক উকিল আর সরকার? জানালেন একলাখ আহমেদকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগে কেন একজনও আজও শাস্তি পেলনা? জানালেন কেন ধর্ষণের দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া গুজরাটি আশারাম বাপু জেলের বাইরে আর উমর খালিদ জেলের ভেতরে? উনি বাংলাতে এসে নির্লজ্জের মত ঘুসপেটিয়ার গল্প শোনাচ্ছেন? নির্বাচন কমিশন কতজন ঘুসপেটিয়াকে কতজন অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে? কোন জেলায়, কতজন? অনুপ্রবেশকারীর জন্যই যদি আমাদের বাংলাতে ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ে থাকে তাহলে উত্তর প্রদেশে ৪ কোটি ভোটারের নাম বাদ গেল, সেখানে কোন অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে? কোনখান দিয়ে ঢুকেছে?
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: