ট্রাম্পের শর্ত মেনে নেওয়া ছাড়া মোদিজীর কাছে অন্য কোনও উপায় আছে?
Автор: বাংলা বাজার BANGLA BAZAR
Загружено: 2025-09-25
Просмотров: 25020
কিছুদিন আগেও মনে হত দেশে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ নেই, রেল উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী, রাস্তা সাফাই অভিযানে প্রধানমন্ত্রী, ছেলেমেয়েদের পরীক্ষার আগে জ্ঞান দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, তিনিই বিজ্ঞানের কথা বলছেন, তিনিই বলছেন অস্ত্র শস্ত্র আর যুদ্ধের কথা, তিনিই বলছেন বাণিজ্যের কথা। আমি, আমি আর আমি। গুগাবাবার সেই বরফির মত, আমিই সত্য, আমিই ব্রহ্ম এই ধরণের একটা ভাবসাব। সেই তাঁকে এখন বোবায় ধরেছে, তিনি এখন কেবল জ্ঞানের কথা বলছেন, স্বদেশী কিনুন, দেশের শিল্প বড় হবে এরকম ধরণের ভেগ কথাবার্তা। কিন্তু অন্যান্য মন্ত্রীরা কিন্তু এদিকে ওদিকে কথা বলছেন। পিযূশ গোয়েল যে বাণিজ্য মন্ত্রী সেটা বোঝা গেল অনেকদিন পরে, তিনি আমেরিকাতে বাণিজ্য চুক্তির কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, এবার থেকে অনেক বেশী তেল কেন হবে আমেরিকার থেকে। অ্যাই, এতদিনে বেড়ালের আসল গলা শোনা যাচ্ছে। কী বললেন তিনি? Commerce and Industry Minister Piyush Goyal said the government aims to expand trade in energy products with the US over the coming years. The world recognises that this (energy security) is one area where we all have to work together. We are big importers of energy from across the world, including from the US. We expect to increase our trade to the US in energy products in the years to come. হ্যাঁ, আর তার কয়েকঘন্টা আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউ এন অধিবেশনে আবার বলেছেন, আমি যুদ্ধ থামিয়েছি ভারত, পাকিস্থানের, আমি মনে করি ভারত আর চীনই রাশিয়ার যুদ্ধ ব্যবস্থাকে সচল রেখেছে, রাশিয়া থেকে তেল কিনে। মানে খুউউব সাফ, তেল কেনা বন্ধ করো, এটাই প্রথম শর্ত। দ্বিতীয় শর্ত হল কৃষি ক্ষেত্র হাট করে খুলে দেওয়া। হ্যাঁ দুটোই করবেন মোদিজী, উনি জানেন, এগুলো তাকে করতে হবে। উনি ইন্দিরা গান্ধী নন, দেশের মানুষকে যিনি বলতে পারেন, একবেলা খেয়ে থাকবো কিন্তু কারোর কাছে ভিক্ষে করতে যাবো না। এটা উনি বলতে পারবেন না, কারণ এটা বললে এতদিনকার বুজরুকিটা ধরা পড়ে যাবে। তাকিয়ে দেখুন ধসছে শেয়ার বাজার, পড়ছে টাকার দাম, কেন এমন হচ্ছে? হোয়াইট হাউস থেকে আসা একের পর এক ধাক্কায় টলমল করছে অর্থনীতির বিভিন্ন প্যারামিটার, কেন এটা হচ্ছে? ভারতের শেয়ার বাজার আজ টালমাটাল কেন? টাকার দামও ক্রমশ কমছে, যা সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেন? অনেকেই ভাবছেন, কী হচ্ছে এসব? কেন হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো? এর মূল কারণগুলো খুঁজতে গেলে চোখ রাখতে হবে আমেরিকার দিকে। বিশেষ করে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সময়কার কিছু মন্তব্য এবং তার প্রশাসনের নেওয়া একের পর এক কঠোর পদক্ষেপগুলোই এই অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রধান কারণ, আসুন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। মাত্র গত কাল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। বলেছেন যে ভারত আর চীন রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার "প্রধান অর্থদাতা" টাকার যোগানদার। ট্রাম্পের যুক্তি, রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে এই দুটো দেশ, আর সেই বিরাট টাকাই পরোক্ষভাবে যুদ্ধকে চালিয়ে নিয়ে যেতে রাশিয়াকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এই অভিযোগটা, ট্রাম্প সাহেবের মতে, অত্যন্ত গুরুতর এবং এর প্রতিক্রিয়া হিসেবেই আমেরিকা ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে, যার ফলে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ এখন ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে । ভারত সরকার এই শুল্ককে "অযৌক্তিক এবং অনুচিত" বলে মন্তব্য করেছে, তাতে অবশ্য ওনার কিছুই এসে যায় না । ট্রাম্প কেবল ভারতকেই নয়, ন্যাটো দেশগুলোর প্রতিও একই অভিযোগ করেছেন, কারণ তারাও রাশিয়ার জ্বালানি কেনা বন্ধ করেনি । তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের কোনো চুক্তিতে না আসে, তাহলে আরও কঠোর শুল্ক চাপানো হবে । কিন্তু কার্যত তিনি না চীনের ওপরে না ঐ ইউরোপিয়ান দেশগুলোর ওপরে কোনও রকম পেনাল্টি ট্যারিফ চাপান নি। অনেকেই ধেই ধেই নেত্য করেছিলেন, নাকি নরেন্দ্র মোদি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নাকে ঝামা ঘষে ট্রাকে এনেছেন, ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সেটা দেখে কিছু নির্বোধের এটাই মনে হয়েছে, এটা যে একটা স্রেফ আনুষ্ঠানিক একটা চাল, আর কিছুই নয় তা বোঝার বয়স বা বুদ্ধি ওনাদের নেই। আসলে শুভেচ্ছা আর ট্যারিফ চাপানোর এই আপাত বৈপরীত্যের পেছনে রয়েছে এক গভীর রাজনৈতিক কৌশল। ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতিতে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ সম্পূর্ণ আলাদা। মোদীর প্রতি ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা একটা কূটনৈতিক সৌজন্য মাত্র। কিন্তু যখন দেশের অর্থনৈতিক বা ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের প্রশ্ন আসে, তখন সেই সম্পর্ক কোনো প্রভাব ফেলে না, সেটা পদে পদে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ট্রাম্প। তাঁর কাছে আমেরিকান কর্মসংস্থান রক্ষা এবং নিজের দেশের বাণিজ্যিক সুবিধা নিশ্চিত করাটাই প্রধান লক্ষ্য।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: