২০২৬ এ গোহারান হারবে বিজেপি। কারণগুলো জেনে নিন।
Автор: বাংলা বাজার BANGLA BAZAR
Загружено: 2025-08-30
Просмотров: 53804
এবারের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের জমায়েত, শ্লোগান, মিছিল সবকিছুই বলে দিচ্ছে যে এটা অন্য বছরের মত কেবল একটা গতানুগতিক রাজনৈতিক আয়োজন নয়, এটা ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের খুঁটিপুজো বা বলা যায় আগমনী বার্তা, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, দিল থামকে বৈঠিয়ে। এই সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত ২০২৬-এর ঢাকে কাঠি দিলেন এবং ঘোষণা করলেন, "২০২৬ সালেও মা-মাটির আশীর্বাদে নবান্নের ১৪ তলায় সিঁড়ি দিয়ে হাওয়াই চটি উঠবে, কোনও দিল্লির বাবুর বুট সিঁড়ি দিয়ে উঠবে না" । হ্যাঁ চটি নিয়ে এমন রসিকতা কে আমরা মুহতোড় জবাব বলতেই পারি। এই রসিকতাই বলে দেয় মমতা বদলে গেছেন, চটির ব্যঙ্গ আর তাঁকে ছোঁয়না। কিন্তু এই মেসেজটা প্রতীকী, যা স্পষ্ট করে দেয় যে আগামী নির্বাচন কেবল দুটো রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই নয়, বরং ‘ভূমিপুত্র বনাম বহিরাগত’ ‘বাংলার স্বাভিমান বনাম দিল্লির হস্তক্ষেপ’-এর এক আইডিয়ার লড়াই, আমি আদর্শ বা দর্শনের লড়াই বলছি না, সেই অর্থে ব্রাত্য বসু যাকে মমতাবাদ বলে থাকেন তা হল কিছু ছেঁড়া ছেঁড়া চিন্তা ভাবনা, যা ক্রমশ একটা নয় বেশ কিছু ন্যারেটিভ তৈরি করছে, সেই ন্যারেটিভগুলোই আগামী কুরুক্ষেত্রের ব্রহ্মাস্ত্র। যদি কেউ চান ব্রাত্য বসুর ঐ মমতাবাদ দিয়ে বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজবেন, পাবেন না, কারণ বেদে সব আছে বা মার্কসবাদ সত্য কারণ ইহা বিজ্ঞানের মত তো কিছু নয়, কিন্তু নির্বাচনে জেতার জন্য, ক্ষমতায় থাকার জন্য বিলক্ষণ কার্যকরী। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ২০২৬ এ আবার হাওয়াই চটিই উঠবে নবান্নের চোদ্দ তলায়। সেটাকে সংখ্যাতেই জানিয়ে দিয়েছেন সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন বিজেপি ৫০ এর নীচে পাবে। এবং খেয়াল করে দেখুন এই কথাটা এই অনুষ্ঠানেই বেশ কয়েকবার বলেছি। হ্যাঁ বিজেপি ৫০ কেন তার অনেকটা তলাতেই থেকে যেতে পারে, এবং সেই তথ্য, সেই খবর বিজেপির ওপর মহলের কাছেও আছে। আছে বলেই তাঁরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন, মানে মাধুকরির আগে, রোজকার ভিক্ষেতে বের হবার আগে বৈষ্ণবরা যেমন কপালে তিলক কেটে একটা সৌম্য ভদ্র সভ্য চেহারা নিয়ে বের হয়, সেইরকমই বিজেপিও খানিক বদলানোর চেষ্টা করছে। অন্য সুর শোনা যাচ্ছে বিজেপির গলায়, ২০২৪ এর পরে বেশ কিছুদিন কাঁথির খোকাবাবু চাই না আমাদের ৩৩% মুসলমানের ভোট, ওসব থাকুক মমতা বেগমের জন্য, আমরা সনাতনীদের ভোট চাই। যেমন নিরেট প্রধানমন্ত্রী, তেমনিই নিরেট এই টাচ মি নট খোকাবাবু, এই সনাতনীদের বিরুদ্ধেই এই বাংলার দলিত মানুষের লড়াই, যে লড়াই থেকে জন্ম নিয়েছে বৈষ্ণব ধর্ম, চৈতন্যদেব, যে লড়াই থেকে জন্ম নিয়েছে মতুয়ারা, গুরুচাঁদ হরিচাঁদ ঠাকুর, সেই সনাতন ব্রাহ্মণ্যবাদের কাঁধে ভর করে নাকি উনি বাংলার গদিতে বসবেন। কিন্তু খেয়াল করেছেন, ইদানিং সেসব কথা বলা বন্ধ, নির্দেশ দিল্লির, এবং শক্তি চট্টোপাধ্যায় পড়া রাজ্য সভাপতি একই বৃন্তে দুটি কুসুমের কথাও বলছেন। সে কুসুম যদিও হারিয়েছে রিপাবলিকে, তবুও বলছেন। এটাই এক বড় পরিবর্তন, প্যারাডাইম শিফট, কিন্তু এই পরিবর্তনের তো দরকার ছিল না যদি বিজেপির ওপর মহল বুঝতে পারতো যে এই মেরুকরণেই, এই তীব্র মুসলমান ঘৃণা ছড়িয়েই মসনদ দখল করা যাবে। অন্যদিকে তাকিয়ে দেখুন না, পরিবর্তন হয়েছে কি যোগিজীর কথা, না তিনি এখনও সেই বিষ ঢেলেই চলেছেন, বরং আরও বেশি করেই ঢালছেন, কারণ সেখানে সেই বিষ কাজ করছে, হিমন্ত বিশ্বশর্মা দিনে দিনে আরও বিষাক্ত হয়ে উঠেছেন, কারণ সেই বিষ কাজ করছে। কিন্তু এখানে সেই বিষ কাজ করছে না বলেই বাংলা বিজেপিতে কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, জয় শ্রী রাম, জয় জয় শ্রী রামের বদলে ঝুউউউউউপ করে জয় মা কালী, জয় মা দুর্গাতে নেমে এসেছে, কদিন পরে জয় বাংলাও বলতে পারেন শমীক ভট্টাচার্য, তার ব্যাখ্যাও খুঁজে আনতে পারেন জীবনানন্দের কবিতার থেকে। কিন্তু তাতেও কি কাজ দেবে? না কাজ দেবে না, ৫০ এর নীচে নামবেই বিজেপি, হ্যাঁ, ২০২৬ এ বিজেপি ৫০ টার কম আসন পাবে। কিন্তু কেন? বিজেপি ৫০ টার কম আসন পাবে তার প্রথম কারণ হলো, টিনা, যেই টিনা বললাম অমনি অনেকের চো চ চ, মানে চোখ চকচক করে উঠলো, না আমি কোনও নতুন কেচ্ছা কেলেঙ্কারির কথা বলছি না, কেলেঙ্কারি তো এখন উত্তর ২৪ পরগণার ফাঁকা ফ্লাটে। টিনা হল, টি আই এন এ, দেয়ার ইজ নো অলটারনেটিভ। হ্যাঁ কোনও বিকল্পই নেই। কার? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একটা বিকল্প মুখ থাকাটা কি খুব জরুরি? না এক্কেবারেই নয়, অনেক সময়েই বিকল্প মুখ ছাড়াও ধসে পড়েছে সাম্রাজ্য। কিন্তু উঠতে বসতে খেতে শুতে, ঘুমে জাগরণে যদি আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আক্রমণ করতে থাকেন তাহলে এই প্রশ্ন তো আসবেই যে বেশ তো, ওনার জায়গাতে কে ভাই? শুভেন্দু অধিকারি? যাঁর রাশি রাশি ভুরি ভুরি কথা ছড়িয়ে আছে অন্তর্জালে, ইন্টারনেটে, গুগলে ইউটিউবে, সমাজ মাধ্যমে, যেখানে তিনি মমতার এই কাজগুলোকেই সমর্থন করছেন, প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন, ছড়িয়ে আছে অসংখ্য তেমন কথাবার্তা যা শুনলে এবং কেউ অনুবাদ করে দিলে এখনই মোদিজী শান্তিকুঞ্জে ইডি সিবিআই পাঠাবেন। কদিন আগে অবদি বিজেপিমুক্ত বাংলার চোট আদি বিজেপি কর্মীদের অনেকের গায়ে পিঠে আছে। সেই সময়ে লাগানো মামলা ঝুলে আছে অনেকের নামে, সেই তিনি আজ এই বাংলাতে মুখ হবেন বিজেপির? না তিনি কোনওদিনও বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারবেন না তাঁর শেকড়ের জন্যই, সেই মুনির বরে বাঘ হওয়া ইঁদুরের মতই তিনি তাঁর জন্মদাগ মুছে ফেলতে পারছেন না। এরপরের নামগুলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়ে আঙুলের সমান বা তারচেয়েও ছোট। তাহলে হবে কী? ঐ যে ৫০ এর নীচে। দ্বিতীয় কারণ হল, সেই পুরনো কথাটা, রেখেছো বিজেপি করেই মাগো, বাঙালি করোনি। রুটি দিয়ে যারা আলুপোস্ত খায়, যাদের ক্যাডারদের কারিয়াকর্তা বলা হয়, প্রবীন কে বরিষ্ঠ, জেলা কে মন্ডল, আর মোদিজীর প্রতিশ্রুতি না বলে যারা ঘোষ্ণা পত্র বলে, তারা এই বাংলাতে কী করে রাজনীতি করবে? তাদের চোলায় চোলায় চোলাই থাকতেই পারে, জয়ের ভেরী বাজবে কী করে? যারা সনাতনের কথা ব্রাহ্মণ্যবাদের কথা বলে, মনুবাদের কথা বলে, ফাসিস্টদের মত কথা বলে তারা এই বাংলার দলিতদের, বাংলার বুদ্ধিজীবিদের সমর্থন কী করে পাবে?
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: