“সনাতন ধর্মের বিরোধিতা, এসব ঠিক করছোনা অনির্বাণ”, জানিয়ে দিলেন সনাতন রুদ্রনীল ঘোষ।
Автор: বাংলা বাজার BANGLA BAZAR
Загружено: 2025-09-05
Просмотров: 58481
কুণাল ঘোষ রাগ করেন নি, শতরুপ ঘোষ বলেছে ঠিকই আছে, দিলীপ ঘোষ মুচকি হেসে বলেছেন শালীনতার মধ্যে থাকলে চাপ নেই। মানে কোন শালীনতা? যেটাকে উনি শালীন বলে মনে করেন, সেই শালীনতার মধ্যে থাকতে হবে, নাহলে তো বলেই রেখেছেন রগড়ে দেবেন। সে পরের কথা পরে, আপাতত অনির্বাণ বা তাঁর ব্যান্ড হুলিগানিজম নিয়ে এই তিনজনের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আরেক ঘোষ গেছেন রেগে। এমনিতে তিনি এখন এই বাংলার চলচিত্র উৎসব, ব্রাকেটে বিজেপি পরিচালিত, নিয়ে খুউউউব বেজায় ব্যস্ত। কারণ সিনেমা খুঁজে পাচ্ছেন না, যে সিনেমা বার করেন সেখানেই ক্যাঁচাল। সত্যজিৎ, ঋত্বিক, মৃণালের ছবিতে সামাজিক রাজনৈতিক যা যা আছে তা নিয়ে তো বিজেপির ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হতে পারে না, এমনকি পরে গৌতম ঘোষ আর ঋতুপর্ণতেও মহা ক্যাঁচাল। আর তেমন কিছু হলে দিল্লিওলারাই প্রশ্ন করবেন, ফেঁসে যাবেন রুদ্রনীল ঘোষ, আপাতত যাঁর ভাঙা পায়ে বড্ড ব্যাথা। তো সেই রুদ্রনীল বাবু রেগে গেছেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য নাকি তাঁদের গানে সনাতন ধর্ম নিয়ে বড্ড খারাপ খারাপ কথা বলেছেন। তাতে সম্ভবত সনাতন ধর্ম বিপন্ন, আর এ বাংলায় সমস্ত বিপন্ন প্রজাতিদের পাশে থাকার কসম খেয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ, কাজেই তিনি বলেছেন নহিঁ চলেগা। এটা ভালো করলে না, ভাগ্যিস জামানা নয়, ওনাদের জামানা হলে অনির্বাণ সমেত ব্যান্ডের মেম্বাররা চাক্কি পিসিং পিসিং অ্যান্ড পিসিং। ভাবা যায় ঘোষের পো এখন সনাতন ধর্ম নিয়েও কথা বলছেন, সনাতন ধর্মের কী দুরবস্থা, শুদ্র কেবল বেদ পাঠ করেছিল তাই তাঁকে রামচন্দ্র নিজের হাতেই হত্যা করেছিল, অবশ্য এতটা রুদ্রনীলের জানার কথাও নয়। গত রবিবার ‘হুলিগানিজ়ম’-এর পারফরম্যান্সের ফাঁকে অনির্বাণ সনাতন ধর্ম নিয়ে কয়েকটা কথা বলেছিলেন— “সনাতন এসে গেছে? আর সনাতনী? সনাতন মানে সনাতন ভারতের কথা বলছি। আসেনি তো এখনও? সনাতন ভারতে পৌঁছতে গেলে আমাদের একটু পিছিয়ে যেতে হবে। সবাই এগিয়ে যায়, আমরা একটু পিছিয়ে যাব। চলুন, সবাই মিলেই পিছিয়ে যাই।” অনির্বাণের বলা এই কথাগুলো নিয়েই উঠেছে আপত্তি। রুদ্রনীল খচে গিয়ে লিখেছেন, “বন্ধুবর অনির্বাণ… আপনি সজ্ঞানে বললেন এই কথা? অন্য কোনও ধর্ম সম্পর্কে এই ধরনের উক্তি করলে তারা এতক্ষণে আপনাকে কোন স্থানে রাখতেন নিশ্চয়ই জানেন।” মানে রুদ্রনীলের কাছে আদর্শ হল ইসলাম যে ধর্মের বিরোধিতা করলে কল্লা নেওয়ার বহু উদাহরণ আছে, উনি সেই ধর্মকেই ধ্রুবতারা হিসেবে ধরে নিয়ে অনির্বাণকে শাসিয়েছেন, মানে হিন্দু ধর্মকে সেই ইসলামে উন্নিত করার এক পরিকল্পনা সম্ভবত রুদ্রনীল ঘোষের আছে। যেদিন তা সম্পন্ন হবে সেদিন এই সনাতনদের নামে কটুক্তি করার জন্য বন্ধুবর অনির্বাণের মাথা ঘ্যাচাং। বুধবার মানে পারফরম্যান্সের ৪৮ ঘন্টা পরে সনাতন ধর্মের এই অপমান রুখতে লালবাজারে সাইবার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানিয়েছেন হাই কোর্টের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। উনি মানে এই তরুণজ্যোতি বুন্দি না রেয়ারির থেকে আসা তা জানা নেই, তবে এটা জানি উকিল হিসেবে ওনার মামলা ঠুকে দেওয়াটা প্রায় দখনেদের সঙ্গে প্রচলিত এক প্রবাদের মত, সকালে উঠে কোনও কাজ নেই, চল ভাইপো, তোর বাপের নামে একটা মামলা ঠুকে দে আসি, ব্যস, মামলা হয়ে গেল। তো উনি মামলা ঠুকেছেন, ভালো কথা। মানে গানে ঝাঁজ আছে, কাজও দিয়েছে, বেগন স্প্রে করলেন, মশা মাছি ছিটকে পড়লো না, মরলো না, পালালো না, কেমন লাগবে বলুন? অতএব মিশন সাকসেশফুল, সেটা খুব পরিস্কার। কিন্তু আসল কথা হল রুদ্রনীল যা জানেন না, যা অবশ্য তাঁর জানার কথাও নয়, তা হল এই সনাতন ধর্ম ব্যাপারটা কী? সনাতন মানে ইটারনাল, সনাতন সত্য মানে ইটারনাল ট্রুথ, সনাতন ধর্ম হল ইটারনাল রিলিজিয়ন। মানে যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, যা প্রাচীন তা সনাতন। তো আধুনিক মানুষের ইতিহাস কত পুরনো? তিন লক্ষ বছরের কিছু বেশী। তখন কি কোনও ধর্ম ছিল? ছিল বা ছিল না, কারণ থাকারও কোনও প্রমাণ নেই, আবার না থাকারও কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে বিরাট অঞ্চল, দেশ জুড়ে কোনও সংগঠিত ধর্ম ছিল না কারণ মানুষ তখনও ছোট ছোট গোষ্ঠিতে বিভক্ত। হয়তো এ গোষ্ঠির মানুষ শেয়ালের মাথাকে দরজায় ঝুলিয়েছে, সেই গোষ্ঠির মানুষ পেঁচার মাথাকে ঝুলিয়েছে, এরকম কিছু টোটেম বা ট্যাবুর জন্ম হয়ে থাকতে পারে। এদিকে এই বেদ ইত্যাদির ইতিহাস কত পুরনো? গবেষনা বলছে ঋক বেদ কমবেশি বড়জোর চার হাজার বছরের পুরনো। এবং মজার কথাহল এই ঋক বেদে সনাতন শব্দটাই নেই। তো শব্দটা এলো কবে থেকে? গীতায় আমরা এই সনাতন শব্দটা বহুবার পেয়েছি। এই গীতা কত বছরের পুরনো? কম বেশি ১৯০০/২০০০ বছরের। সেখানে বহুবার আমরা সনাতন শব্দটা কে পেয়েছি। কী ভাবে? সেখানে কৃষ্ণ অর্জুনকে কিছু শ্বাশ্বত কথা বলছেন, ইটারনাল ট্রুথ, কীরকম? বলছেন অর্জুন আত্মার জন্ম হয় না, মৃত্যু হয় না, তাকে দহন করা যায় না ইত্যাদি, বলার পরে বলেছেন এষঃ সনাতন, এটাই সনাতন। অর্থাৎ এ এক আদিকাল থেকে চলে আসা সত্য, আচ্ছা খেয়াল করুন, উনি কিন্তু বলছেন না যে অনন্ত কাল ধরেই এটা চলবে, উনি বারবার বলছেন এষঃ সনাতন, মানে এ পর্যন্ত চলে আসা সত্য। মানে ঠিক এই মুহুর্তের পরে তা বদলে যেতে পারে। বদলে যাবার কথায় পরে আসছি। আমরা বুদ্ধের মুখে এই সনাতন ধর্মের কথা পাই, শ্বাশ্বত সত্যের কথা বৌদ্ধ ধর্ম বলে, তাই বৌদ্ধ ধর্ম সনাতন। বৌদ্ধ ধর্ম কিন্তু ভগবানে বিশ্বাস করে না, কিন্তু তাও সনাতন ধর্ম। একই ভাবে জৈন ধর্মও নিজেকে সনাতন ধর্ম বলে, তা কি হিন্দু ধর্ম? এক্কেবারেই নয়, কারণ জৈন ধর্ম তো পরমাত্মায় বিশ্বাসই করে না, কিন্তু তারাও নিজেদের সনাতন ধর্ম বলে। অর্থাৎ যে ধর্মে সনাতন সত্যের কথা বলা হল, বা এমন কিছু কথা যা দার্শনিক ভাবে আদিকাল থেকে চলে আসা সত্য, তাই সনাতন ধর্ম।
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео mp4
-
Информация по загрузке: